বিশ্বনাথ প্রতিনিধি (সিলেট):: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চাউলধনী হাওরে চাঞ্চল্যকর কৃষক ছরকুম আলী দয়াল ও স্কুলছাত্র সুমেল হত্যাকারীদের ফাঁসি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, চাউলধনী হাওরের লীজ বাতিল ও দশঘর ভূয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির রেজিস্ট্রেশন বাতিল, বিশ্বনাথ থানার প্রাক্তন ওসি শামীম মূসা, এসআই ফজলু, সমবায় কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণী তালুকদার ও মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম ভূইয়া এর অপসারনের দাবীতে ৬ অক্টোবর বুধবার বেলা ১২টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। চাউলধনী হাওরপারের ৩০/৩৫টি গ্রামের কয়েক হাজার নির্যাতিত, নিপীড়িত, ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় কৃষকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য রাখেন চাউলধনী হাওর রক্ষা ও কৃষক বাচাঁও আন্দোলন কমিটির আহবায়ক ও বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবুল কালাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দশঘর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ নামে একটি অবৈধ মৎস্যজীবি সংগঠন ৬বছরের জন্য চাউলধনী হাওরের ১৭৮.৯৮ একর সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত ভূমি লীজ গ্রহণ করে বেআইনিভাবে যুক্তরাজ্য প্রবাসী অমৎস্যজীবি সাইফুল ও বাহিনী সাবলীজ প্রদান করে। গত ১০ বছর ধরে এই বাহিনী কৃষকের জমি জোরপূর্বকভাবে দখল করে ইরি-বোরোর বীজ বপন ও চারা রোপনে বাধা সৃষ্টি করে। এতে হাওর শুকিয়ে প্রতি বছর প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন। এই অস্ত্রবাজ বাহিনী কৃষক ছরকুম আলী দয়াল, স্কুলছাত্র সুমেল আহমদকে হত্যা করে। ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খুনিদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলেও দীর্ঘ ৮মাস পর আসামীরা মহামান্য হাইকোর্টে আত্মসর্ম্পন করে। মহামান্য হাইকোর্ট ৫জনকে ২৮দিনের মধ্যে নি¤œ আদালতে হাজির হওয়ার নিদের্শ ও ১৫জনকে ৪২দিনের জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামীরা বাদী ও স্বাক্ষীদের মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে আসছে। এতে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। সুমেল হত্যা মামলার বাদী ইব্রাহিম আলী সিজিল ও সুমেলের চাচা নজির উদ্দিন জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্বনাথ থানা পৃথক ভাবে দুটি জিডি এন্ট্রি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বনাথ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম ভূইয়া, সমবায় কর্মকর্তা কৃষ্ণা রানী তালুকদার, ওসি শামীম মূসা, এসআই ফজলুর দায়িত্বে অবহেলা ও দূর্নীতির কারনে অপসারন দাবী করা হয়।
তিনি এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট ন্যায় বিচার ও চাউলধনী হাওরের লীজ বাতিল, সমিতির রেজিষ্ট্রেশন বাতিল ও অস্ত্র উদ্ধারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট জোর দাবী করেন।
এসময় বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান, নিহত সুমেলের বাবা মানিক মিয়া,
মা, বোন, মামলার বাদী ইব্রাহিম আলী সিজিল, দয়াল হত্যা মামলার বাদী আহমদ আলীসহ চাউলধনী হাওর রক্ষা ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।